সরবরাহ না থাকায় গাইবান্ধার ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ রয়েছে। শনিবার (৭ মে) সকাল ৮টা থেকে এই অবস্থা চলছে। কোনো ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল ও অকটেন নেই। ফলে মোটরসাইকেল চালকরা ফিলিং স্টেশনে গিয়ে পেট্রোল ও অকটেন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলায় ১০টি ফিলিং ষ্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশনে প্রতিদিন এক লাখ লিটার পেট্রোল ও অকটেনের চাহিদা রয়েছে। রবিবার (৮ মে) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের ফিলিং স্টেশনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনের মেশিনগুলো কালো কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারিরা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। মোটরসাইকেল চালকরা পেট্রোল কিনতে গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যারা ঈদের আগে মোটরসাইকেলের তেল নিয়েছিলেন, তাদেরও মজুত শেষ। জ্বালানির অভাবে শহরে মোটরসাইকেল চলাচলও কমে গেছে।
এদিন দুপুরে জেলা শহরের অন্যতম জ্বালানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এস এ কাদির অ্যান্ড সন্স-এ আসা গাইবান্ধা শহরের সুখনগর এলাকার কলেজ শিক্ষক সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ফিলিং স্টেশনে গিয়ে তিনি মোটরসাইকেলের জন্য পেট্রোল পাননি। ফলে মোটরসাইকেল রেখে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চলাচল করছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের সীচা এলাকার আবদুস সালাম জানান, সচরাচর ফিলিং স্টেশন থেকেই মোটরসাইকেলের জন্য তিনি পেট্রোল কিনেন। সেখানে না পেয়ে গ্রামের বাজার থেকে ১১৫ টাকায় এক লিটার পেট্রোল কিনে শহরে এসেছেন।
গাইবান্ধা শহরের এস এ কাদির অ্যান্ড সন্সের এক কর্মচারি বলেন, শনিবার সকাল ৮টা থেকে তাদের ফিলিং ষ্টেশনের জ্বালানির মজুত শেষ হয়ে গেছে। তাই মেশিনের মুখে কালো কাপড় লাগানো হয়েছে। অথচ এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন দুই হাজার লিটারের বেশি পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি হতো। বাঘাবাড়ি ডিপো থেকেই জ্বালানি সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের গাড়ি গিয়ে সেখানে অপেক্ষা করছে। আরেক কর্মচারি বলেন, সরবরাহ না পেলে তারা বিক্রি করবেন কিভাবে?
গাইবান্ধা শহরের এস এ কাদির অ্যান্ড সন্সের মালিক ও গাইবান্ধা জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি শাহজাদা আনোয়ারুল কাদির বলেন, ডিজেল পাওয়া গেলেও শনিবার সকাল থেকেই পেট্রোল ও অকটেনের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ সমস্যা কেবল গাইবান্ধায় নয়, গোটা উত্তারাঞ্চলের ১৬ জেলায়। বিগত ছয়মাস থেকেই এ সমস্যা চলছে। এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার।
এসব বিষয়ে গাইবান্ধা-দারিয়াপুর সড়কের কদমেরতল এলাকার গাইবান্ধা ফিলিং স্টেশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. জাহিদ বলেন, প্রতি সপ্তাহে ছয় হাজার লিটার পেট্রোল দরকার। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বাঘাবাড়ি থেকে পেট্রোল ও অকটেনের সরবরাহ পাচ্ছেন না। ফলে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।