শেষ হলো সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত বৈশাখী উৎসব। তিন দিনের উৎসবে আলোচনা, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্যসহ ছিল লোকজ সংস্কৃতির প্রচার ও প্রদর্শনী। শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে প্রতিদিনই ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়।
শেষ দিনের (৮ মে ২০২২) আয়োজন শুরু হয় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। নৃত্য, আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনের পর শুরু হয় আলোচনা। এদিন রবীন্দ্রনাথ জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একক বক্তৃতা করেন সাহিত্য একাডেমির সদস্য প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর।
এছাড়াও সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, তিতাস ললিতকলা একাডেমি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও লোক সংস্কৃতি পরিষদের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও জেলা খেলাঘর।
আবৃত্তি পরিবেশন করেন সাহিত্য একাডেমি, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র, আবৃত্তি একাডেমি, আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রর আবৃত্তিশিল্পীরা।
আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন দলীয় নৃত্য। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকৃত প্রতিটি দলের দলনেতাকে সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন সংগঠনের সদস্যরা।
শেষ দিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি মানিক রতন শর্মা ও সোহেল আহাদ।