স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা কোম্পানি অপোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। শুল্ক গোয়ন্দার প্রতিবেদনে প্রায় ৪৬ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা কাস্টম হাউজের পক্ষ থেকে অপোর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অপো বাংলাদেশ কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট কো. নামের প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল ফানসেট আমদানির সময় আন্ডার ইনভয়েসিং ও অন্যন্য অনিয়মের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকিসংক্রান্ত গোপন সংবাদ পেয়ে কাস্টম গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর একটি অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিটিআরসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালে আমদানিকৃত ১৮০৩ মডেলের ২ হাজার অপো ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনসেট বেশি আমদানি করা হয়েছে, যেগুলোর শুল্ক পরিশোধ করা হয়নি। অর্থাৎ এসব মোবাইলের শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখিত সংখ্যক মোবাইল হ্যান্ডসেট কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর সেকশন-৩২ লঙ্ঘন করে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা হয়েছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানিকৃত ১৮০৩ মডেলের অতিরিক্ত ২ হাজার মোবাইল ফোনসেটের বিষয়ে অপোর কাছে বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করতে বলা হলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দলিলাদি দেখাতে ব্যর্থ হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই কর ফাঁকির বিষয়ে অপো বাংলাদেশ কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।