ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ পাচার করে আসছে। অতীতে মাঝেমধ্যে ধরা পড়লেও নেপথ্যে কারা জড়িত এর রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। তারা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গতকাল রবিবার বিকালে হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর থেকে আড়াই লাখ টাকার ওষুধ পাচার করার সময় র্যাব-৩-এর একটি দল চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির নেতা হাজি আব্দুল হাকিমকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার নেতৃত্বে একটি চক্র বহুদিন ধরে হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর থেকে ওষুধ পাচার করে আসছিল।
র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট প্রায় তিন মাস মনিটরিং করে গতকাল তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হাকিম চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং কোথায় এসব সামগ্রী বিক্রি করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। নেতা হওয়ার সুবাদে দোর্দণ্ড প্রতাপে ওষুধ পাচার করে আসছিল সে। শুধু স্টোরের নয়, ওয়ার্ডে সরবরাহকৃত ওষুধও রোগীদের জন্য ব্যবহার না করে তারা পাচার করত বলে জানা গেছে।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, র্যাবের পক্ষ থেকে বেশ কিছুদিন যাবৎ জড়িতদের সম্পর্কে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ২৫ প্যাকেট ওষুধ সামগ্রীসহ আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, কতিপয় দুষ্টচক্রের জন্য হাসপাতালের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে না। তাই জড়িতদের সম্পর্কে র্যাবের পক্ষ থেকে যে ধরনের তথ্য চাওয়া হবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সেই সহযোগিতা করা হবে।