বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক নতুন প্রজন্মকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ‘সত্য চর্চার’ পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, তিনি তার সারাজীবন নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যতের ব্যাপারে চিন্তা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া তার সারাজীবন সত্য চর্চাকে কাজে লাগিয়েছেন। আমরা আশা করি, নতুন প্রজন্ম তার এই আদর্শ অনুসরণ করবে। যেমনটা তিনি তার জীবদ্দশায় সর্বদা তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে চিন্তা করে গেছেন।’
বিশিষ্ট এ পরমাণু বিজ্ঞানীর ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাসস’র সঙ্গে কথা বলার সময় ড. আরেফিন সিদ্দিক ড. ওয়াজেদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ গঠন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চার করেন।’
ওয়াজেদ মিয়ার উত্তরাধিকারী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আরেফিন বলেন, ‘বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি ড. ওয়াজেদ সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে আমরা তার সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।’
তিনি বলেন, ‘তার দু’টি বই ফান্ডামেন্টালস অব থার্মোডাইনামিকস ও ফান্ডামেন্টালস অব ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিকস বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য মৌলিক পাঠ্যবই হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে ড. ওয়াজেদের চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরার ব্যাপারে জোর দিয়ে বাসস’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আরেফিন বলেন, ‘‘ড. ওয়াজেদ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির ওপর একটি বই লিখেছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ জাতির পিতার জামাতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হিসেবে কখনো কোন সুবিধা গ্রহণ করেননি। এটি লোভহীন জীবনযাপনের একটি অনন্য উদাহরণ।’
ড. আরেফিন বলেন, ‘তার সরলতা সাধারণ জীবনযাপনে আমাদের উৎসাহিত করে।’
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট এ পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া (সুধা মিয়া) ২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।