শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে বিশ্ব, সতর্ক করল জার্মানি

আপডেট : ১০ মে ২০২২, ০৩:৩৪

বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। এরই মধ্যে খাবারের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। এমন পরিস্হিতিতে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সভেনজা শুলজে সতর্ক করে জানিয়েছেন, আসন্ন দুর্ভিক্ষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভয়াবহ হচ্ছে। করোনা মহামারি ও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এর অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সভেনজা শুলজে বলেন, পরিস্হিতি অত্যন্ত নাটকীয়। কারণ এরই মধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্হা জানিয়েছে, ৩০ কোটির বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে। তাছাড়া তাদের এই সংখ্যা কেবল বাড়ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, খাবারের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। খারাপ সংবাদ হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন বিশ্ব। এতে লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

বিশ্ব খাদ্য সংস্হা ৬ মে বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বের প্রায় আরো ৪ কোটি ৫০ হাজার মানুষ ক্ষুধার দিকে ঝুঁকছে। কারণ যুদ্ধের পর ইউক্রেনের শস্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট তৈরি করেছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে মার্চে গমের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বের প্রধান গম উত্পাদনকারী দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। বিশ্ব রপ্তানির ৩০ শতাংশ আসে দেশ দুটি থেকে। শুলজে বলেন, পৃথিবীর খাদ্যগুদাম খ্যাত ইউক্রেনে যুদ্ধ চলায় বিশ্ব আজ এক কঠিন পরিস্হিতিরি মুখোমুখি। এর উত্তাপ থেকে কেউই রক্ষা পাবে না। এমনিতেই খাদ্য নিরাপত্তায় কোটি কোটি মানুষ। তার ওপর নতুন করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্হিতিকে আরো খারাপ করে দিচ্ছে।

শুলজে সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্ব জুড়ে খাদ্যের দাম এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়ে ‘রেকর্ড স্তরে’ পৌঁছেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছি। যার ফলে লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের শস্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। 

তারা কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলি খোলার আহ্বান জানিয়েছে যাতে এই শস্য সরবরাহ বিঘ্নিত না হয়। তিনি বলেন, রাশিয়া ‘ইউক্রেন থেকে শস্য চুরি করছে’ এবং এখন রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কৃষিপণ্যের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলির সুবিধা নিচ্ছে কেবল তাদেরই খাদ্য সরবরাহ করে, যারা ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে রুশপম্হী’। এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর তীবÌ সম্ভাবনা রয়েছে। মস্কোর বিজয় দিবসের প্যারেডে এমন পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসআর