কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মাঠে প্রান্তরে এখন দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। এরই মধ্যে ধান পেকে গেছে তাই কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গৃহস্হ বাড়ির উঠানে উঠানে চলছে ধান মাড়াই এর কাজ। তাই নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। তবে এ উপজেলায় পুরো দমে ধান কাটতে আরো ১০/১৫ দিন সময় লাগবে। গত সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ।
কৃষকরা জানান, রাজারহাট উপজেলা চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর মাঠে তেমন রোগ বালাই নেই বললেই চলে। সেই সাথে বিদুৎ ব্যবস্হা ভালো থাকায় সময় মত সেচ দেয়া হয়েছে। বাজারে এবার ধানের দামও ভালো।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধান পেকে বাতাসে দোল খাচ্ছে। কৃষকরা আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন।
নাজিম খান ইউনিয়নে মনিডাকুয়া গ্রামের ইছাহাক আলী, আমিনুল ইসলাম জানান, তারা আগাম জাতের ধান কাটছেন। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। আগে ধান কাটার পর এক আটি খড় বাজারে বাজারে ৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খড়ের দাম আর ধানের দাম ভালো থাকায় তারা এবার খুশি।
সুখদেব মৌজার ফিরোজ জানান, আর কয়েক দিন পরে আমার ২ হেক্টর জমির ধানকাটা হবে। তাই মাড়াই জায়গা পরিস্কার করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আকতার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ২ শ ২০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্য মাএা ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার ২ শ ২০ মেট্রিক টন। এখন আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।