‘গ্যাছে দুই মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল! মাছ ধরতে পারিনাই। নদীতে ইলিশ না থাকায় পরিবার পরিজন লইয়া খাইয়া না খাইয়া অনেক কষ্টে যাচ্ছে। ঈদের দিন ঘরে সেমাই তো দূরের কথা পোলা মাইয়াগো গায়ে নতুন জামা কাপড় কিছুই দিতে পারি নাই। আইজ ৮০ কেজি চাউল পাইয়া আমার ঘরে ঈদের বইছে।’ কথাগুলো বললেন জেলে হানিফ দেওয়ান (৫০)।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিয়ে বাড়ি যাওয়া পথে দশমিনা উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের জেলে হানিফ দেওয়ান কথাগুলো বলেছেন।
বুধবার (১১ মে) উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ হাজার ৫৫০ জন জেলে পরিবারের মধ্যে ৮০ কেজি করে মৎস ভিজিএফ’র দ্বিতীয় পর্যায়ের চাল বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইকবাল মাহমুদ লিটন, উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্রসহকারি মো. মিলন বিশ্বাস, ইউপি সদস্য সিকদার দেলোয়ার, রিপন কর্মকার, শাহজাহান কবির ।
দশমিনা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে জাটকা ইলিশ শিকারে বিরত থাকা সাত ইউনিয়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ৫ হাজার ৯০০ জন জেলে পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নের জেলে পরিবারে দ্বিতীয় পর্যায়ে মৎস ভিজিএফ’র ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করতে তদারকি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।’