ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বরগুনার নিচু এলাকার ফসলের মাঠ। এতে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার তরমুজ। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
জেলার অধিকাংশ এলাকার তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে। তবে সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাকবুনিয়া, আমতলী, চৌমুহনীসহ কয়েকটি এলাকায় তরমুজ এখনো জমিতেই রয়ে গেছে। কয়েকদিন পর এসব তরমুজ বিক্রি করার কথা ছিল।
বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নীমতলী ও বালিয়াতলী ইউনিয়নের খাকবুনিয়া এলাকায় দেখা গেছে, বৃষ্টিতে তরমুজের জমি তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা জমি থেকে তরমুজ তুলে রাস্তার ওপর স্তুপ করে রেখেছেন। কেউ আবার পানিতে ডুবে থাকা তরমুজ কেটে নৌকায় তুলছেন। বৃষ্টির পানিতে তরমুজের জমি ডুবে যাওয়ায় লাখ লাখ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
খাকবুনিয়া এলাকার কৃষক জলিল মৃধা বলেন, ‘২ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয় করে তরমুজ আবাদ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালো ছিল। ভাবছিলাম ১০-১৫ দিন পর বিক্রি করবো। তাই ফল কাটিনি। কিন্তু গত দুইদিনের বৃষ্টিতে সব শেষ। এখন এই তরমুজ ২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব কি না সন্দেহ আছে।’
নিমতলী গ্রামের আল আমিন হোসেন বলেন, ১৬ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় এখন ১০ হাজার টাকাও বিক্রি করা যাবে না।
আরেক চাষি আবুল কালাম বলেন, আমি ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষ করেছিলাম। কয়েকদিন পর ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু বিক্রি করার আগেই বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু সৈয়দ জোবায়দুল আলম জানান, যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। পরে এসব কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হবে।