কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তেল-চিনি সংগ্রহ করে মজুত চেষ্টার অভিযোগে একজন যুবককে আটক করেছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। তার কাছ থেকে ২৪০ লিটার সয়াবিন তেল ও ২০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়।
বুধবার (১২ মে) ভোর রাতে ২৭ নম্বর জাদিমুড়া ক্যাম্পের চেকপোস্টে তল্লাশি চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয় বলে জানান টেকনাফ ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম।
আটক নুর কবির (২৭) টেকনাফ উপজেলার পশ্চিম লেদা এলাকার মৃত কামালের ছেলে।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তেল-চিনি অবৈধভাবে মজুতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে একটি সাদা রঙের লেগুনায় তল্লাশি চালায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। এসময় গাড়িতে ২৪০ লিটার সয়াবিন তেল ও ২০০ কেজি চিনি পাওয়া যায়। এগুলোর বৈধ কেনার কোনো কাগজ দেখাতে না পারায় নুর কবির নামের একজনকে আটক ও লেগুনায় থাকা মালামাল জব্দ করা হয়।’
আটক কবির জিজ্ঞাসাবাদে জানান, একই এলাকার শামসুসহ (৫০) তিনি এসব মালামাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সংগ্রহ করেছেন।
এপিবিএন অধিনায়ক জানান, আটক ও জব্দ মালামালের ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, আটক নুর কবিরের পরিবারের দাবি, রোহিঙ্গারা প্রতিমাসে পাওয়া রেশনের একটি অংশ বাইরে বিক্রি করে অন্যান্য প্রয়োজন মেটায়। বাজারের চেয়ে কম দামে অনেকে সেসব পণ্য কিনে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন। এভাবে অনেকেরে সংসার চলে। নুর কবিরও একই ভাবে রোহিঙ্গাদের বিক্রি করা পণ্য কিনে সওদার মাধ্যমে পরিবার চালায়।
পরিবার আরও দাবি করে, কোনো পণ্য মজুত করে রাখার মতো তাদের পূঁজি নেই। কিনে এনে বিক্রি করে আবার ক্রয় করে আনেন তারা। এপিবিএনকে হয়তো ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে কেউ। যেহেতু রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে কেনা, তাই কেনার রশিদ থাকে না তাদের।