অনতিবিলম্বেই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছে ফিনল্যান্ড। দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো ও প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন এই আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আশা করছেন তারা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণেই ফিনল্যান্ড নিজেদের সুরক্ষায় ন্যাটোতে যোগদানে তোড়জোড় চালাচ্ছে। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে রাশিয়া দেশটিতেও ইউক্রেনের মতো হামলা করে বসতে পারে, এমন শঙ্কা থেকেই ফিনল্যান্ড সরকার জোটটিতে যোদ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আগামী রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারে ফিনল্যান্ড। একইদিন সুইডেনও ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ন্যাটো ইস্যুতে আলোচনার জন্য জনগণের মতামতের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সময় নেই। ন্যাটোর সদস্যপদ ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা জোরদার করবে। বিলম্ব ছাড়াই ফিনল্যান্ড অবশ্যই ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করবে। গত সপ্তাহে এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ন্যাটোতে যোগদানে সমর্থন রয়েছে ৭৬ শতাংশের আর বিপক্ষে ১২ শতাংশ।
‘রাশিয়ার জন্য হুমকি’
রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন বলেছে, ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদানের সিদ্ধান্ত রাশিয়ার জন্য স্পষ্ট হুমকি। সামরিক এই জোটের সম্প্রসারণ ইউরোপ বা বিশ্বকে স্হিতিশীল করবে না। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব কথা বলেছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পেসকভ বলেন, ন্যাটো জোটে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ডের নেওয়া পদক্ষেপ দুঃখজনক এবং একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের কারণ। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ডের এই যোগদান রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ। মস্কো আগে ধারাবাহিকভাবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।