শীতকালে ঠোঁট ফাটে সঠিক পরিচর্চার অভাবে, এ কথা কমবেশি সবারই জানা। কিন্তু গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ঠোঁট ফাটা নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছেন কেউ কেউ। শুধু ঠোঁট ফাটছে না, কারও কারও চামড়াও উঠছে।
মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মেও ত্বক ও ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে। গরমে শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকে। ফলে ঠোঁটের জলীয় ভাব ক্রমশ হ্রাস পায়। ঠোঁটের চামড়া খুব পাতলা হওয়ার কারণে অল্পেতেই রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। গরমে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কয়েক রকমের স্ক্রাব।
ব্রাউন সুগার স্ক্রাব: ত্বকের মৃত কোষ দূর করার অন্যতম একটি উপাদান হলো ব্রাউন সুগার। শুষ্ক ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে ব্রাউন সুগার ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ ব্রাউন সুগার, দুই চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিয়ে আঙুল দিয়ে এই মিশ্রণটি আলতো করে ঠোঁটে ঘষে নিবেন। কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে পানি ভেজানো নরম কাপড় দিয়ে ঠোঁটে বুলিয়ে নিতে হবে।
স্ট্রবেরি স্ক্রাব: স্ট্রবেরিতে রয়েছে ভিটামিন সি। ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করতে দারুণ কাজ করে এই ভিটামিন। গরমেও ঠোঁটের গোলাপি ভাব বজায় রাখতে ব্যবহার করতে পারেন স্ট্রবেরি। একটি পাত্রে এক চামচ অলিভ অয়েল, স্ট্রবেরির কুঁচি, মধু মিশিয়ে নিবেন। এ বার মিশ্রণটি ভালো করে ঠোঁটে বুলিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট থাকবে কোমল ও মসৃণ।
কফি স্ক্রাব: ধোঁয়া ওঠা কফির চাইতে এই গরমে ক্রিম দেওয়া ঠাণ্ডা কফিতেই গলা ভেজাতে পছন্দ করেন অনেকে। গলা ভেজানোর পাশাপাশি ঠোঁটের যত্নেও কাজে লাগাতে পারেন কফি। এক চামচ কফির গুঁড়া ও দুই চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে মেখে নিবেন। চাইলে এই মিশ্রণটি বানিয়েও রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
গরমে ঠোঁট ফাটা তাপমাত্রার কারণে হয়ে থাকে। তাপমাত্রার স্বাভাবিক প্রভাবে যেহেতু ঠোঁট ফাটছে তাই সচেতন থাকলেই এটি এড়ানো সম্ভব। গরমে ঠোঁট সুন্দর ও মসৃণ রাখতে প্রচুর পানি পান করবেন। তীব্র সূর্যালোক ও ধুলাবালি এড়িয়ে চলবেন। পাশাপাশি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে ভ্যাসলিনও ব্যবহার করাতে পারেন।