বর্তমানে করোনামুক্ত রয়েছে রাজশাহী। চলতি মাসে রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। তাই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিশেষায়িত ওয়ার্ড ‘করোনা ইউনিট’। গত শুক্রবার (১৩ মে) ওয়ার্ডটি বন্ধ ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৪ মে) রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চে খোলা রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২০২১ সালের ২৮ জুন এবং ১৪ জুলাই (২৪ ঘণ্টায়) সর্বোচ্চ ২৫ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়। এদের ৭ জন করোনা পজিটিভ ও ১৪ জনের করোনার উপসর্গ এবং করোনা নেগেটিভ হয়েও ৪ জনের মৃত্যু হয়। একই বছরের জুনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩৫৪ জন মৃত্যুবরণ হয়। ওই সময়ে রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৪৫৪টি। প্রতিদিন শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চলতি বছরের শুরু থেকে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে থাকে। মে মাসে ভর্তি রোগী ছিল মাত্র ৩ থেকে ৬ জন। ১৩ মে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটি’ই ‘শূন্য’ ছিল। এদিনই দীর্ঘ দু’বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার অবসানে করোনামুক্ত হলো রামেক হাসপাতাল।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনাকালের লোমহর্ষক সেই মৃত্যুর দৃশ্য এখন আর নেই। সে সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর কষ্ট এবং স্বজন হারানোর আহাজারি ছিলো নিত্যদিনের বিষয়। মাত্র ২০ শয্যার আইসিইউয়ের ভর্তির জন্য শতাধিক রোগীর অপেক্ষার প্রহর। মহামারি পরিস্থিতির সেই টালমাটাল জনজীবন এখন স্বাভাবিক।
তিনি আরও জানান, ১৩ মে করোনা ইউনিটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরআগে মাত্র দু’তিন জন করোনার লক্ষণ নিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ১২ মে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। আপাতত কোনো রোগী নেই। তবে যদি দু’জন রোগী করোনার লক্ষণ নিয়ে আসেন, তাদের রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে (আইডিএইচ) চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।