ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাঁটিহাতা বিশ্বরোডের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে গাড়ি পার্কিং এবং অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতাদের নেতৃত্বে এ স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট; ঘটছে দুর্ঘটনা।
সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে সড়ক বিভাগ বলছে, শিগগিরই এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
জানা যায়, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক এন টু, আন্তঃজেলা মহাসড়ক এন ১২ খাঁটিহাতা বিশ্বরোড় মোড়ের অবৈধ স্থাপনা ও সিএনজি স্ট্যান্ডের যানজট দুর্ঘটনার কারণ। অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড। সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই পয়েন্ট হয়ে যেতে হয়। প্রতিদিন শত শত গণপরিবহনের যাত্রী ওঠানামা করে। পাশাপাশি এখানে রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড।
এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু স্থানীয় নেতারা প্রভাব খাটিয়ে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন।
বসানো হয়েছে বিভিন্ন খাবার হোটেল, ফল ও চায়ের দোকান। মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে বসছে অস্থায়ী বাজার। জেলার সরাইল উপজেলার এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন এখানে শত শত সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই দ্রুত এসব অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা দরকার।
স্ট্যান্ডগুলোর একাধিক ব্যক্তি জানান, স্ট্যান্ডে রয়েছে প্রায় ৭ শতাধিক গাড়ি। প্রতিটি গাড়ি থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা করে। ৬০ থেকে ৩৫০ টাকা প্রতিদিন দোকান ভাড়া তোলা হচ্ছে। সড়ক বিভাগ এর আগেও কয়েকবার উচ্ছেদ করছে। কিন্তু কিছু দিন গেলেই আবারও অবৈধ দোকানপাট বসে যায়।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সুখেন্দু বসু বলেন, ‘অচিরেই অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভোমিক বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’