শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইউপি সদস্যকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট : ১৫ মে ২০২২, ০১:৩০

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত আসনের বর্তমান নারী সদস্যকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে শুক্রবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে মোহনপুর থানায় অভিযু্ক্ত মজিবর রহমানসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই নারী ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায়।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে বুধবার রাত ৯টার সময় মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত সেফাতুল্লাহর ছেলে মজিবর রহমান (৪৭) জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের এক নারী ইউপি সদস্য, তিন কন্যার জননীকে (৪২) বিয়ের কথা বলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বুধ ও বৃহস্পতিবার মজিবর রহমান তাকে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। ওই ইউপি সদস্যকে নিজ বাড়িতে রেখে শুক্রবার (১৩ মে) ভোরে মজিবর রহমান পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মজিবর রহমানের লোকজন গিয়ে নারী ইউপি সদস্যকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সরকারি জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি মজিবর রহমানসহ অন্য আসামিরা ইউপি সদস্যর কাছ থেকে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা ছিনতাই ও মারপিটের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এ ব্যাপারে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউপি সদস্যকে থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।’

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারী ইউপি সদস্যকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।’ 

ইত্তেফাক/এএএম