শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৫০ টাকা করে মনিটর বিক্রি করে শোকজ খেলেন ইবির ৪ কর্মকর্তা

আপডেট : ১৫ মে ২০২২, ১৬:৩৫

৫০ টাকা করে কম্পিউটার মনিটর, ৪১ টাকা করে সিপিইউ এবং স্বল্প দামে অন্যান্য পুরাতন জিনিস বিক্রি করে শোকজ খেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ কর্মকর্তা।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা বিধিসম্মত অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে এসব জিনিস বিক্রি করেছেন এবং এখনও টাকা কমা দেননি। রোববার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘পুরনো কম্পিউটার মনিটর ও সিপিইউসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিনা অনুমতিতে বিক্রির অভিযোগে ৪ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- এস্টেট দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান, একই দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার বকুল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন এবং উকিল উদ্দিন। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।’

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে ৫০ টাকা দরে অন্তত ৪৩টি কম্পিউটারের পুরনো মনিটর এবং ৪১ টাকা দরে সিপিইউ বিক্রি করেন এস্টেট দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান। এসময় একই দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার বকুল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন এবং উকিল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় পুরনো টাইপিং মেশিন, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন, এসি, লোহার পাইপ ও প্রায় সাড়ে ৪০০ কেজি পুরনো কাগজ সবমিলিয়ে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। পরবর্তী সময়ে এ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।  

এবিষয়ে অভিযুক্ত টিপু সুলতান বলেন, ‘আমি মৌখিকভাবে প্রক্টর ও ট্রেজারার স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। তবে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে টাকা জমা না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক বন্ধ থাকায় জমা দিতে পারিনি। আগামীকাল (সোমবার) টাকা জমা দেবো। সেইসঙ্গে যথোপযুক্তভাবে শোকজের জবাব দেবো।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার জন্য একটি শোকজ নোটিশ জারি করেছি। অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এএইচ/এএইচপি