নিউ ইয়র্কে সুপারমার্কেটে নির্বিচারে গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই হামলা ছিল বর্ণবাদী। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় চার্চে গুলিতে এক জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিউ ইয়র্কের বাফালোতে সুপারমার্কেটে গুলি চালায় ১৮ বছর বয়সি এক শ্বেতাঙ্গ যুবক। শনিবার (১৪ মে) হামলার আগে সে ওই জায়গা ঘুরে দেখেছিল। কীভাবে গুলি চালাবে তার পরিকল্পনাও ছকেছিল সে।
তার উদ্দেশ্য ছিল, যত বেশি সম্ভব কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করা। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই যুবক নিউ ইয়র্কের বেশ কয়েকটি কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকা ঘুরে দেখেছিল। বাফালোর মেয়র জানিয়েছেন, ওই যুবকের উদ্দেশ্য ছিল, যত বেশি সম্ভব কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করা। সে কনকলিন থেকে বাফালো যায়, তারপর টপস ফ্রেন্ডলি মার্কেটে গিয়ে গুলি চালাতে থাকে। পুরো হামলা সে সামাজিক মাধ্যমে লাইভ দেখাতে থাকে।
ওই সামাজিক মাধ্যমের পক্ষ থেকে থেকে বলা হয়েছে, দুই মিনিটের মধ্যে সেই পোস্ট তারা সরিয়ে দিয়েছে। বাফালোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামালিগা জানিয়েছেন, আমরা যে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি, তার ভিত্তিতে বলা যায়, এটা পুরোপুরি হেট ক্রাইম এবং সেভাবেই তার বিচার হবে।
তিনি বলেছেন, একদিন আগে ওই যুবক শহরে এসেছিল। সে সবকিছু ঘুরে দেখে আক্রমণের জায়গা বেছে নেয়। এই হামলা চালাবার আগে সে সামাজিক মাধ্যমে ১৮০ পাতার বর্ণবাদী ইস্তাহার প্রকাশ করে। পুলিশ এখন ওই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।
নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর তারা কনকলিন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পান। সেখানকার একটি ছাত্র গুলি করে অন্যদের মারার হুমকি দিচ্ছে। তারা সেই ছাত্রটিকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করান।
সংবাদসংস্থা এপি-কে পুলিশের একজন অফিসার বলেছেন, ওই ছাত্রটিই বাফালোতে আক্রমণ চালায়। চার্চে হামলা দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ল্যাগুনা উডসে একটি চার্চে রোববার এক ব্যক্তি হামলা করে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সে একটি চার্চে ঢুকে গুলি চালাতে থাকে। চার্চে যারা সেসময় যাচ্ছিলেন এবং ভিতরে ছিলেন, তারাই বন্দুকধারীকে ধরে ফেলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তার কাছ থেকে দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিতে একজন মারা যান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্ত একজন এশীয়, তার বয়স ষাট বছরের মতো। কেন এই হামলা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। শেরিফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেসময় যারা চার্চে ছিলেন, তারা মূলত তাইওয়ান থেকে আসা মানুষ। (এপি, এএফপি, রয়টার্স)