শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জৈন্তাপুরে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ২০:৩৫

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছেন। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে দরবস্ত, ফতেপুর ও চিকনাগুল ইউপির বিভিন্ন গ্রাম।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সরেজমিনে দরবস্ত ফতেপুর চিকনাগুল ও জৈন্তাপুর ইউপি ঘুরে নাজমুল ইসলাম, হাফিজ, রফিক আহমদ, বুরহান উদ্দিন, করিম মিয়া, সুলেমান মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে এবারের বন্যা। 

নিজপাট ইউপির বিভিন্ন গ্রামে পানি কমলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চল জৈন্তাপুর ইউপি'র চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, খারুবিল, লক্ষিপুর, বিড়াখাই, হাটিরগ্রাম, ভিত্রিখেল, ববরবন্দ, গাতিগ্রাম, নিজপাট ইউপির ফুলবাড়ী, ডিবির হাওর, লক্ষীপ্রসাদ হাওর, দিগারাইল, চারিকাটা থুবাং, রামপ্রসাদ, নয়াগাতি, মাদার মোকাম, দরবস্ত ইউপি'র গর্দনা, কাঞ্জর, চাল্লাইন, সেনগ্রাম, মুটগুঞ্জা, নয়াবাজার, ফরফরা, তেলীজুর, শুকইনপুর, লামা ডেমা, ছাতারখাই, মানিকপাড়া, মহাইল, লামা মহাইল, ফতেপুর ইউপির হেমু, হাউদপাড়া, বালিপাড়া, জুহাইরটুক, মাঝেরটুক, লামা শ্যামপুর ও চিকনাগুল ইউপির কহারগড়সহ ৬টি ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে উঁচু স্থানে গৃহপালিত পশু গরু-মহিষ নিয়ে ছুটছেন বন্যা কবলিত গ্রামবাসীরা। সমস্যা সমাধানে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অঞ্চলে অবস্থিত সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে বন্যা কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিগণ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ও ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, আমরা বন্যায় প্লাবিত এলাকা গুলোর খোঁজ খরব রাখছি এবং বন্যা কবলিত পরিবারদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছি। এছাড়া বন্যাকবলিতদের সর্তকবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো দুর্ঘটনার খবর এলে তাদেরকে উদ্ধারে জরুরি নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি