বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

লোকবল ও ল্যাবরেটরির অভাবে ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১০:১৬

উদ্বোধনের ১৫ বছর পর চালু হয় ঝিনাইদহ ২৫ বেডের শিশু হাসপাতাল। তার পরও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ হয়নি। ল্যাবরেটরির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। 

২০০৬ সালে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ হয়। হাসপাতাল ভবনসহ ডাক্তার ও নার্সদের আবাসন ভবনও নির্মাণ করা হয়। ঐ বছরের ৬ অক্টোবর এ হাসপাতালের উদ্বাধন করা হয়। শুধু একজন মেডিক্যাল অ্যাসিট্যান্ট দিয়ে নামকাওয়াস্তে হাসপাতালটি চালু দেখানো হয় তখন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কমপ্লেক্স চত্বর জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ঝিনাইদহে করোনার প্রকোপ শুরু হলে এ হাসপাতালটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি পুরোপুরিভাবে শিশু হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫ বেডের বিপরীতে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ রোগী ভর্তি থাকে। আর আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ শিশুকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। চার জন ডাক্তার পোস্টিংয়ে আছেন। সেই সঙ্গে আরো চার জন ডাক্তারকে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৮ জন নার্সকে। কিন্তু ওয়ার্ডবয় ও আয়া নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অফিসের অন্য স্টাফ নিয়োগ হয়নি। সরবরাহ করা হয়নি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি।

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার আলি হাসান ফরিদ বলেন, ল্যাব না থাকায় ভর্তিকৃত শিশুদের পরীক্ষানিরীক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হয়। এতে ব্যয় বেশি হয়, যা গরিব রোগীদের পক্ষে বহন করা সম্ভব হয় না। বেডেরও অভাব আছে।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্র রানী দেবনাথ বলেন, ল্যাব স্থাপন ও তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা পরিদর্শনে আসবেন। শিগ্গিরই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।

ইত্তেফাক/ইআ