রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের লিচু বাজারে আসা শুরু করলেও বিভিন্ন ক্যামিকাল দিয়ে অনেক সময় লিচু পাকানোর কারণে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কায় আগৈলঝাড়ায় দেশি লিচুর কদর বেড়েছে।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লিচু দেখতে লাল না হলেও গ্রামাঞ্চলের বাড়ির আঙিনা বা মাছের ঘেরের পাড়ে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত লিচুর কদর বেড়েছে সর্বত্র। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে লিচু বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, গ্রামের বাড়ির গাছ থেকে লিচু পেড়ে ২০ ও ৫০টি করে আঁটি বেঁধে বিক্রির জন্য বাজারে সাজিয়ে রাখছেন তারা। বর্তমানে গ্রামের লিচুর কদর বেড়ে যাওয়ায় সাইজ-ভেদে ১০০ লিচু ১৫০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাকাল গ্রামের ফল ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ বৈদ্য ও সেলিম মিয়া জানান, বাকাল এলাকায় তারা ৮/৯টি লিচুর বাগান কিনেছেন।
স্থানীয় লিচু উত্তরাঞ্চলের লিচুর চেয়ে একটু কম মিষ্টি হলেও সচেতন মানুষের কাছে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর| গ্রামাঞ্চলের ঐসব লিচু গাছে বাদুড় ও কাকের উপদ্রব থেকে লিচু রক্ষা করতে তিনি লোক দিয়ে বাগান পাহারা বসিয়েছেন। এছাড়াও বাঁশ কিংবা টিনের তৈরি বিশেষ বাজনা বাজিয়ে উচ্চস্বরে শব্দ করে তাড়ানো হচ্ছে কাক ও বাদুড়| স্থানীয় লিচুর চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা এবার লাভবান হচ্ছেন।