শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মিডিয়া ডেলিগেশনের নামে নতুন ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

আপডেট : ২২ মে ২০২২, ১৫:৫৫

মিডিয়া ডেলিগেশনের নামে পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ পালিত হয়।

সমাবেশে সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন মজুমদার বলেন, ‘মিডিয়া ডেলিগেশনের নামে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশবিরোধী নতুন ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে পাকিস্তান আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। রাজাকারের বংশধরদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পরিবাররা বেঁচে থাকতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পাকিস্তানের কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।’

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন। মিডিয়া ডেলিগেশনের নামে জামাত-শিবিরের এজেন্টদের একটি টীমকে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পাঠাবার পাঁয়তারা করছে ঢাকাস্থ পাকিস্তান মিশন। এই ডেলিগেশনের সদস্যদের নাম জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে অনেক মিডিয়া হাউজে পাকিস্তান দূতাবাস যোগাযোগ শুরু করেছে। কেউ কেউ পাকিস্তান হাইকমিশনের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের এই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের এই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে নানান মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের বাংলাদেশবিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্রের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ৩০ লক্ষ নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করেছিল। দুই লক্ষ বাঙালি নারীকে পরিকল্পিতভাবে গণধর্ষণ করেছিল। তারপরেও এদের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এদেশীয় স্বাধীনতাবিরোধী দোসরদের সহযোগিতায় পাকিস্তান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পাকিস্তান আজও পর্যন্ত তার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চায়নি।’

তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল। কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে বাংলাদেশ সরকারের চাপে ২০১৫ সালে পাকিস্তান দূতাবাসের এক কূটনীতিককেও নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান সরকার। বাংলাদেশ থেকে মিডিয়া ডেলিগেশন নেয়ার নামে আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে পাকিস্তান। এই ডেলিগেশনকে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করার কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান।’

ইত্তেফাক/এএইচপি