শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিংগাইরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১২:৪৯

সিংগাইরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় সাবিনা আক্তার (২০)নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাতে পৌরসভার মেয়রের বাড়িতে শালিস বসলে মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার ঐ হাসপাতালের মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেন।তবে এ টাকা এখনো নিহতের পরিবারের হাতে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে।

সিংগাইর থানা সদরে অবস্থিত সিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এ মৃত্যুর ঘটনাটি  ঘটে। নিহত সাবিনা উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের টাকিমারা গ্রামের মোখলেছ মিয়ার স্ত্রী এবং উত্তর বাহাদিয়ার সকেল উদ্দিনের মেয়ে। 

স্বজনদের অভিযোগ সাবিনা আক্তারের প্রসব যন্ত্রনা উঠলে শনিবার রাত ১১ টার দিকে সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাভাবিক ভাবে প্রসব না হওয়াতে রবিবার হাসপাতালের গাইনী ডা.ইমা বিনতে ইউনুছ তার অস্ত্রোপাচার করেন। এতে সে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অস্ত্রোপচারের পর তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। 

সাবিনার শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারের কারণে অধিক রক্তক্ষরণে অপারেশন থিয়েটারেই ছেলের বউর মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা দেখতে চাইলেও সেখানকার নার্সরা তাকে দেখতে দেয়নি। দেখতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের লোকজন আমাদের উপর উত্তেজিত হয়ে মারতে আসে। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে এনে ছেলের বউকে মৃত অবস্থায় ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।সেখান থেকে জানানো হয় সাবিনা অনেক আগেই মারা গেছেন।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম স্বপন মৃত্যুর কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,সাবিনা একজন মানসিক প্রতিবন্ধী । সে শ্বাসকষ্ট ও রক্ত শুন্যতায় ভুগছিলেন। আমরা প্রথমে তার নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করেছি। নরমাল ডেলিভারি না হওয়ায়  সাবিনা ও তার মায়ের লিখিত অনুমতিক্রমে রাত ৩ টার দিকে  অস্ত্রপাচার করানো হয়। অস্ত্রোপচারের পর সে অস্বাভাবিক আচরন করেন । এক পর্যায়ে শ্বাসকষ্ট ও অতিরিক্ত রক্তশুন্যতা দেখা দিলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। 

এ বিষয়ে জানার জন্যে ডা: ইমা বিনতে ইউনুছের মুঠোফোনে ( ০১৭৭৭১৮২৫২৫) একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা.মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী জানান,বিষয়টি তার জানা নেই। থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

 

ইত্তেফাক/ ইআ