সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় কয়েকটি কলেজসহ ৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। টানা কয়েক দিনের বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হতে শুরু করেছে বিদ্যালয়গুলো।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বন্যার ফলে পানিতে তলিয়ে যায় কলেজসহ ৩৫টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় পুনরায় ২০টি প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১৫টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় সেগুলো চালু হতে আরও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।
কামরাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আজাদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে ও অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যার কবলে পড়ে আমার বিদ্যালয়। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় এবং সারী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যাওয়ার আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। বিদ্যালয় চালু হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রিরাও বিদ্যালয়ে ফিরছে। নিজেদের প্রিয় ছাত্রদের নিয়ে পাঠদান করতে পেরে ভাল লাগছে।
ঢুলটিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান, আমার প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এখনও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পানি থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারছি না। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে বিদ্যালয় চালু করা যাবে বলে আশা করছি।
জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ মিফতাউজ্জামান জানান, আমার উপজেলার ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্যা কবলিত হয় ৩৫টি। জরুরি ভিত্তিতে বন্যা কবলিত প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ২০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বাকী ১৫টি প্রতিষ্ঠান বন্যার উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চালু করা হবে।