কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ পদ্ধতি বাতিলসহ ৭ দফা দাবি দিয়েছেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইতোপূর্বে স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার।
নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শঙ্কাহীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১১টায় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নিকট তিনি এসব দাবি জানান।
একইদিন বিকাল ৩টায় নগরীর বাদুরতলা ধর্মসাগরপাড়ের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি গণমাধ্যমের নিকট এসব দাবি তুলে ধরেন। এসময় তিনি সিইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট দেওয়া ৭ দফা দাবিনামা সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন।
লিখিত ৭ দফায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে, কেন্দ্র দখল, ভোটার শূন্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জনগণের মধ্যে সেই আতঙ্ক ও সন্দেহ এখনও বিরাজ করছে। তাই ভোটারদের ভয় ও শঙ্কামুক্ত পরিবেশের বিষয়ে আশ্বস্ত করতে হবে। ইভিএম বাতিল করে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
এসময় তিনি এ নির্বাচনে সিটি এলাকার বাইরে থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে সিটি এলাকায় কর্মরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ পরিদর্শক পদবীর কর্মকর্তাদের বদলী করতে হবে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাগুলো সব প্রার্থীকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ দিতে হবে।’
এসময় তিনি নির্বাচনের সময় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করারও দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ প্রচারণার স্বার্থে দুইজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কয়েকটি টিম নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানসহ প্রার্থীদের যে কোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ম্যাসেঞ্জারসহ অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রহণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
বিকালে সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘৭ দফা দাবি উল্লেখ করে ওই প্রার্থীর (নিজাম উদ্দিন) লিখিত আবেদন পেয়েছি। আবেদনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লেখা। ইভিএম বাতিল, সিটি এলাকায় কর্মরত পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলীসহ অন্যান্য দাবির বিষয়ে আবেদনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে অগ্রগামী করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিটি এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যা যা করণীয়, আমরা এর সবই করছি। এতে কোনো প্রার্থী কিংবা ভোটারের শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।