শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মার্কিন বন্দুক আইন নিয়ে আবারও সরব বাইডেন

আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১০:৫২

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের স্কুলে বন্দুকধারীর আক্রমণে ২১ জনের মৃত্যুর পর আবারও দেশটির বন্দুক আইনের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।

বাইডেন জানিয়েছেন, এরপরেও যদি বন্দুক আইন সংশোধন করা না যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বন্দুক রাখার অধিকার নিয়ে যারা সওয়াল করেন, তারা সংবিধানের দোহাই দেন, কিন্তু সংবিধান যে কোনো অস্ত্র রাখার অধিকার দেয় না। সংবিধান এবং আইন বরাবরই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছে।

বস্তুত, ১৭৯১ সালে অস্ত্র আইনের প্রসঙ্গ টেনে বাইডেন বলেন, সেখানেও নাগরিকদের কামান রাখার অধিকার দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ, সংবিধান অস্ত্র রাখার অধিকার দিলেও তা নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেছে।

মার্কিন অস্ত্রের ভাণ্ডার খুব শক্তিশালী। কয়েকদিনের মধ্যেই অস্ত্র লবির সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের টেক্সাসে সম্মেলন হওয়ার কথা। সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন টেক্সাসের রিপাবলিকান পার্টির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। এছাড়াও গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট, সেনেটর টেড ক্রুজ, জন করনিনের ওই সভায় বক্তৃতা করার কথা। অস্ত্রের অধিকারের পক্ষে আলোচনা করবেন তারা।

বস্তুত, বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি বিতর্ক হওয়ার কথা। মার্কিন কংগ্রেস থেকে বিষয়টি সিনেটে পৌঁছেছে। বাফেলোর ঘটনার পর এই বিতর্কের পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে টেক্সাসের স্কুলের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে।

টেক্সাসের ঘটনার পরেও অবশ্য অস্ত্রের অধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তাদের মানসিকতা বদলায়নি। টেক্সাসের গভর্নর জানিয়েছেন, যে তরুণ ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তার মানসিক সমস্যা ছিল। সে কারণেই সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে অস্ত্রের অধিকারের কোনো সম্পর্ক নেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের প্রচারের অন্যতম বিষয় ছিল অস্ত্র আইনের পরিবর্তন। ক্ষমতায় এসে তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটি বিলও আনেন। কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধিতায় তা আইন হতে পারেনি।

বস্তুত, এর আগেও ডেমোক্র্যাটরা অস্ত্র আইনের সংশোধন চেয়েছে একাধিকবার। কিন্তু রিপাবলিকান এবং অস্ত্র লবি তা কখনোই মানতে চায়নি। বুধবারের ঘটনার পর ফের সেই অস্ত্র আইন নিয়ে সরব হলেন বাইডেন।

ইত্তেফাক/টিআর