ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সংঘর্ষ হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো ধরনের সংঘর্ষ হয়নি। যা হয়েছে তা ক্যাম্পাসের বাইরের এলাকায়, রাস্তায়, হাইকোর্ট মোড়ে।’
ড. রাব্বানী বলেন, ‘আমি আমার সহকারী প্রক্টর, প্রক্টরিয়াল টিম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারফতে খোঁজ-খবর নিয়েছি। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছি। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে দেওয়া যাবে না।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের পর প্রক্টর বলেছেন, ‘ক্যাম্পাসকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দেখতে চাই কাল (বুধবার) কারা ক্যাম্পাসে রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢোকে।’
সেদিন তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ছাত্র-অছাত্র বুঝি না, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেবে এবং শক্ত হাতে দমন করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে চায় আগামীকাল কে লাঠি নিয়ে ঢুকতে চায়। আমি দেখতে চাই কাল কে ক্যাম্পাসে রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢোকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর অবস্থানে যেতে বলা হয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনার সময় গুলির শব্দও শোনা যায়। একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা যায়।
এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রদলের দাবি, তাদের ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের সবাই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসে ছাত্রদল। হাইকোর্ট মোড় পার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় আসলে সেখানে ছাত্রলীগের মুখোমুখি হন তারা। সকাল ৯টা থেকে কার্জন হল, শহীদ মিনার, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।