শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জাহাজ নির্মাণশিল্পে স্বল্প সুদে ২ হাজার কোটি টাকার তহবিল

আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ০৯:৪৭

জাহাজ নির্মাণশিল্পের উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশের লক্ষ্যে ২ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ স্কিমের সুদহার হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১২ বছর (৩ বছর+৯ বছর) মেয়াদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। গ্রেস পিরিয়ড শেষে ৯ বছরের মধ্যে মাসিক বা ত্রৈমাসিক সমকিস্তিতে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে ঋণ দিতে বেশকিছু বিধিনিষেধ জুড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি (বিআরপিডি) বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, জাহাজ শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, রপ্তানি আয় ও কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং আমদানি নির্ভরতা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এনে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রেখে সরকার ‘জাহাজ নির্মাণশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। এ নীতিমালার আলোকে অপেক্ষাকৃত স্বল্পসুদে ঋণ দিয়ে জাহাজ নির্মাণশিল্পের উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ২ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।

২ হাজার কোটি টাকার এ স্কিম পরিচালনার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও বাংলাদেশে কার্যরত সব তপশিলি ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। পুনঃঅর্থায়ন নিতে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অব-সাইট সুপারভিশনের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এ স্কিমের পরিচালনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অব-সাইট সুপারভিশন। জাহাজ নির্মাণশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১-এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জাহাজ নির্মাণকারী রপ্তানিমুখী ও স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এ স্কিমের আওতায় ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে। এ স্কিমের আওতায় ডকইয়াড নির্মাণ বা জমি ক্রয় বা ইজারার বিপরীতে ঋণ দেওয়া যাবে না। 

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতার অনুকূলে এ স্কিমের আওতায় ঋণ দেওয়া যাবে না। এ স্কিম হতে গৃহীত ঋণ দ্বারা কোনোভাবেই অপর কোনো ঋণ বা বিনিয়োগ পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না। ব্যাংক পর্যায়ে ১ শতাংশ সুদ হারে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে। গ্রাহক পর্যায়ে এ স্কিমের আওতায় সুদের হার হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ শতাংশ।

ইত্তেফাক/ইআ