বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পানির বোতলে হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল-অকটেন

আপডেট : ২৯ মে ২০২২, ১১:১০

পেট্রোল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ খোলাবাজারে বেচাকেনা ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে অগ্নিকাণ্ড। ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে যানমালের। অথচ দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব জ্বালানি। কেবল তাই নয়, বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলবাড়ী পৌর শহরের মুড়িহাটি, নিমতলা মোড়, পৌর বাজার, বাসস্ট্যান্ড এলাকা, স্বজনপুকুর রেলঘুমটি এলাকাসহ বিভিন্ন হাটবাজারে মুদি দোকান, এমনকি পানের দোকানেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনা চলছে। অনেক দোকানে মোটরসাইকেলের অকটেন ও পেট্রোল পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে। এসব জ্বালানি বিক্রিতে জড়িত নন এমন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিনি ট্রাক অথবা পিকআপ ভ্যানে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে যায় দোকানে দোকানে। ট্রাক-পিকআপ ভ্যান থেকে ছুড়ে নিচে ফেলে দিয়ে নামানো হয় সিলিন্ডার। এতে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। লাভজনক হওয়ায় পেট্রোল-অকটেনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জ্বালানির ব্যবসা ক্রমে বাড়ছে।

জানা গেছে, ১০টির কম সিলিন্ডার দোকানে থাকলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না—এমন আইনের সুযোগ নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। কেউ কেউ প্রথমে বাসাবাড়ি বা গুদামে মজুত করছেন সিলিন্ডার, সেখান থেকে অল্প অল্প করে দোকানে এনে বিক্রি করছেন। যাতে ১০টির বেশি না দেখায়। বিক্রির উদ্দেশ্যে সিলিন্ডার মজুত করতে হলেই অধিক নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। তবে তা মানছেন না খুচরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা।

ফুলবাড়ী পৌর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আহম্মদ আলী বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে লাইসেন্স লাগে, এটা আমার জানা ছিল না। অনেক দোকানদার বিক্রি করছে, তাই আমিও বিক্রি করছি। কারণ এখন তো আর সিলিন্ডার কিনতে দূরে যেতে হয় না, গাড়ি এসে দোকানে দিয়ে যায়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার যেহেতু দাহ্য পদার্থ, সেহেতু কেউ ট্রেড লাইসেন্সধারী গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে চাইলে তাকে অবশ্যই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রত্যয়নসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। এগুলোর ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যবসা করলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, অগ্নিনির্বাপণ আইনে এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। লাইসেন্সবিহীন গ্যাস, অকটেন ও পেট্রোল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। দিনাজপুর বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব চালক গাড়িতে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ইত্তেফাক/এমআর