শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাবিতে চাকরি ফিরে পেলেন সেই মাসুদ

আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ২০:০৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিম্নমান সহকারী পদে কর্মরত মো. মাসুদুর রহমানের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ মে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈতবেঞ্চ পূর্বের দায়ের করা এক রিটে আবেদনের সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে মো. মাসুদুর রহমানকে চাকরিচ্যুতির দিন থেকে তিন মাসের জন্য উপাচার্যের আদেশ স্থগিত করেন। 

একইসঙ্গে উপাচার্যের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না? এ জন্য রুলও জারি করেন। এছাড়া চার সপ্তাহের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেন। 

হাইকোর্টের আদেশের আদেশের মূলকপি মঙ্গলবার (৩১ মে) মো. মাসুদুর রহমান, রাবির রেজিস্ট্রার মো. আব্দুস সালামের হাতে পৌঁছে দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ কোনো কারণ দর্শানো ও তদন্ত ছাড়াই রাবির সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার প্রশাসন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মো. মাসুদুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়। 

আদেশে বলা হয়, ‘মো. মাসুদুর রহমান শহীদ মিনার ও জাতীয় দিবসের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য তার দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।’ 

মাসুদুর রহমান জানান, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীদের পক্ষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈতবেঞ্চ একটি রিট মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনিসহ অপর একজন কর্মচারী ওই রিটের বাদী হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিটটি প্রত্যাহারের জন্য নানামুখী চাপের অংশহিসেবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে ধারণা করা হয়।’  

মাসুদুর রহমান আরও জানান, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরত তিন শতাধিক কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা রয়েছে। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীরা একটি শান্তিপূর্ণ প্রচারপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার রাস্তায় গত ২৬ মার্চ সকাল ৭টার দিকে বিলি করার সময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার নিজে উপস্থিত হয়ে প্রচারপত্রগুলো কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন। এ সময় তিনি (উপাচার্য) বলেন, রাজাকারের বাচ্চা, কিসের আন্দোলন করছিস। মো. মাসুদুর রহমানকে তিনি চাকরিচ্যুত করার হুমকি প্রদান এবং ভীতি প্রদর্শন করেন। এরই জেরে পরদিন ২৭ মার্চ বিকেলেই তাকে চাকরিচ্যুতির আদেশ জারি করা হয়।’ 

ইত্তেফাক/এএএম