চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ভিএক্সের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও সাবেক নেতা মোহাম্মদ রাশেদকে মারধর করেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের অনুসারীরা। এর জেরে ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ শুরু করেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইট এলাকার দিকে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোররাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদ মোটরসাইকেলযোগে এক নম্বর গেট থেকে ক্যাম্পাসে দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে মাজার গেট এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী গ্রুপের ৭/৮ জন কর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের ওপর হামলা করে এবং মারধর শুরু করেন। ভাংচুর করা হয় তাদের মোটরসাইকেলটিও। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা ভোর থেকেই জিরো পয়েন্ট এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখে।
অবরোধের কারণে এ পর্যন্ত কোনো ট্রেনই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি।এছাড়াও ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের কোনো বাস। ১ নং গেট থেকে আসা সকল বাস, সিএনজি, রিক্সা, মোটরসাইকেলকে জিরো পয়েন্ট এলাকার ৪০০ মিটার আগে থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাসের মধ্যেও বিভিন্ন পয়েন্টে এবং রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে আজ ক্লাস হবে কি হবেনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কথা অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, আমি প্রতিদিনের মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠি। উঠে তাজ্জব হয়ে যাই ফেসবুক দেখি। দেখি ফেসবুকে আমার ছবির ছড়াছড়ি। আমি নাকি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কোন এক ছাত্রকে রাতে মেরেছি। অথচ না আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি, না আমি এর সাথে সম্পৃক্ত। স্পষ্টতই এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
আন্দোলনরত অবস্থায় ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা জানান, যে বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না সে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দরকার নেই। আমাদের দুই ছাত্রনেতার উপরে ঘৃণ্য হামলা করা হয়েছে। যতক্ষণ না এর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ভোর থেকেই ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এখনো সমাধান হয়নি। ক্লাসও নিতে পারেননি শিক্ষকরা।