বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ ২০২৯, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট। এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্ক কনস্যুলেট মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্কে বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, নেতৃবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে কনস্যুলেটকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সাজানো হয়।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পয়লা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়।
তিনি পয়লা বৈশাখের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতনামা শিল্পী একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসান-এর দরদী কণ্ঠের পরিবেশনায় কনস্যুলেটে এক মনোরম আবহ তৈরি হয়।
নিউইয়র্কস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফরমিং আর্টস (বিপা) এবং অনুপ কুমার ড্যান্স একাডেমির শিল্পী ও শিক্ষার্থী ছন্দেপূর্ণ সৃজনশীল নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে।