শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মধুমাসে হাবিপ্রবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ফল উৎসব

আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৯:১০

গ্রাম-বাংলায় মধুমাস নামে পরিচিত এ ঋতুর শেষ মাস জ্যৈষ্ঠ। এ মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ হরেক রকমের বাহারি ফলের স্বাদে মেতে ওঠে বাঙ্গালি। প্রকৃতির এই সময়কে উপভোগ করছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরাও। 

বুধবার (৮ জুন) বিকেল ৩টায় ফল উৎসবে মেতে ওঠেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আম, জাম, কাঁঠাল লিচুতে ভরপেট খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করে বিভাগটি। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. জুয়েল আহমেদ সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় এই ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সায়েন্স এন্ড হিউমেনিটিস অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন নওশের ওয়ান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ইয়াসিন প্রধান, অধ্যাপক এ.টি.এম. রেজাউল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক হাসান জামিল, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, সহযোগী অধ্যাপক আশরাফি বিনতে আকরাম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হওয়া স্বতেও যেসব কর্মসূচি এরই মধ্যে হাতে নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। একটি বিভাগের অন্ত:সম্পর্ক বৃদ্ধি, কর্মতৎপরতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এধরণের কর্মকাণ্ড। 

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ইয়াসিন প্রধান বলেন, আমার ১৫ বছরের শিক্ষকতার জীবনে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজেরা ফল উৎসব আয়োজন করেছে, এমন অভিজ্ঞতা বিরল। ঈদের আগেও প্রায় ৬০ জন অসচ্ছল শিশুকে 'চাঁদের হাসি' কর্মসূচির মাধ্যমে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিপার্টমেন্ট তাত্ত্বিক পড়াশোনার পাশাপাশি এমন প্রোগ্রাম বাকিদের জন্যও অনুকরণীয়। 

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী তুষার চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের ৩টি ব্যাচের মধ্যকার আন্ত:সম্পর্ক বৃদ্ধিতে এই ধরনের প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  আমি বিভাগের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ এমন সুন্দর একটি প্রোগ্রাম আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। 

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. জুয়েল আহমেদ সরকার বলেন, বাংলার ফল বাঙালী সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এই মধুমাসে দেশীয় ফলের মাধ্যমে এই মধুমাসকে বরণ করে নেয়ার চেষ্টা করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসাথে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি । এছাড়াও দেশের উন্নয়নে স্বকীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমার আশা এই উৎসবের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা বাঙালী সংস্কৃতির প্রতিও আকৃষ্ট হবেন।

ইত্তেফাক/এআই