রাজশাহীর দুইটি রাইস মিলকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) পৃথক অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাটে ‘কামাল অটোরাইস মিলে' অভিযান চালান। অভিযানে তিনি দেখেছেন, অটোরাইস মিলটিতে ভারতীয় বস্তায় ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল দেশীয় চাল। ভারতীয় ‘নূরজাহান’ ব্র্যান্ডের চাল হিসেবে দেশীয় এই চাল বেশি দামে বিক্রি করা হতো। চালের বস্তায় সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যও লেখা নেই। এ ছাড়া প্রতিটি বস্তায় ওজনেও কম ছিল চাল।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অসৎ উদ্দেশ্যে ভারতীয় বস্তায় দেশীয় চাল ঢোকানো হয়েছিল। এ রকম প্রায় ১০০টি বস্তা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও দুই ধরনের অপরাধ করেছে কামাল অটো রাইস মিল। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাইস মিলের মালিক কামাল হোসেন জরিমানা পরিশোধ করেছেন।
অন্যদিকে হাসান-আল-মারুফ দুপুরে নগরীর খড়খড়ি এলাকায় ‘শাহ মখদুম মডার্ন রাইস মিল’ নামের আরেকটি রাইস মিলে অভিযান চালিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। মারুফ জানান, এই প্রতিষ্ঠানে ৫০ কেজির চালের প্রতিটি বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম করে চাল কম দেখা গেছে। চার হাজার ১০০ বস্তা চাল দেখা গেছে শাহ মখদুম মডার্ন রাইস মিলে।
বস্তায় চাল কম থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান পরিশোধ করেছেন। তাদের চালের বস্তা খুলে নতুন করে সঠিক ওজন অনুযায়ী চাল ঢোকানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর ওই চাল কোথায় বিক্রি করা হয়েছে তার তালিকা ভোক্তা অধিকারকে জানাতে বলা হয়েছে। চালের ওজন ঠিক করে বিক্রি করা হয়েছে কি না তা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যাচাই করবে।