২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত (কালোটাকা সাদা) অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা চেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। গতকাল শনিবার জাতীয় বাজেট ২০২২-২০২৩-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এক ভাচুর্য়াল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে এ সুবিধা চান সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সিএসইর চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো বাজারবান্ধব ছিল। এ বছর সিএসইর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, বিদ্যমান বিধানগুলো যেন অপরিবর্তিত থাকে। বাজেটে সব বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের লেনদেনের ওপর বিদ্যমান উৎস কর শূন্য দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছিল, যা বাজেটে বিবেচিত হয়নি।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পরিচালন খরচ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে ব্রোকারেজ সেবার কমিশন অত্যন্ত কমে আসার কারণে এই কর্তন করা অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর করদায় হিসেবে বেশি হয়। তাই উত্সে করহার হ্রাসে আমাদের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
এছাড়াও তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত করা, এই করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা, মিউচুয়াল ফান্ড বা ইউনিট ফান্ড থেকে প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত করা, এই মিউচুয়াল ফান্ড বা ইউনিট ফান্ড থেকে প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশকে সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত রাখা যেতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে প্রসারিত হতে উত্সাহিত করার জন্য এই সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।