শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীন বাদী পরিবার

আপডেট : ১৩ জুন ২০২২, ১২:০৪

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাধীন আতাইকুলা থানার স্বরগ্রাম এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রুহুল আমিন (২৯) খুন হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার চাচা আবু সাইয়িদ। আতাইকুলা থানায় মামলা হলেও আসামিরা দুই সপ্তাহেও গ্রেপ্তার হয়নি। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। 

নিহত রুহুল আমিনের মা রোকেয়া খাতুন (৫০) বলেন, ‘আমার রুহুলরে এনে দাও। আমার বাবা কই?’ 

রুহুল আমিন ওই গ্রামের আকমলের ছেলে। পেশায় দিন মজুর ছিলেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে বিকালে রুহুল তার স্ত্রী দেলোয়ারাকে দাওয়াত খেতে যাবেন বলে বের হন। এটাই ছিল স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা। ওই দিন রাত ৯টার দিকে রুহুল ও তার চাচা আবু সাইদ বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে চা খেয়ে আসার সময় এলাকার সন্ত্রাসীরা রুহুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় চাচা আবু সাইয়িদ এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। আবু সাইয়িদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। 

এ ঘটনায় রুহুলের বাবা আকমল হোসেন বাদী হয়ে শাজাহানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আতাইকুলা থানায় মামলা দায়ের করেন। 

সাইয়িদের স্ত্রী রুবি খাতুন বলেন, ‘স্বরভবানীপুর গ্রামের মৃত তোয়াজ আলীর ছেলে শাহজাহানের সঙ্গে আমার স্বামী ও ভাসুরের ছেলে রুহুল আমিন একসঙ্গেই চলাফেরা করতো। গত বছর স্বরগ্রাম দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার সময় আমার স্বামী ও শাহজাহান সভাপতি পদে প্রার্থী হয়। এ নিয়ে শাহজাহানের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সে থেকে শাহজাহান আলী তার সস্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখান।’

রুহুল আমিনের বাবা আকমল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কি পাব না ছেলে হত্যার বিচার? আজ ১৫ দিন পার হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশে কোনো শক্তি নাই যে শাহজাহানের বিচার করে। সে আধিপত্য দেখাতে এলাকায় নানা অপকর্ম করছে। আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আমার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।’

এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।’ 

ইত্তেফাক/মাহি