সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেলুচ জনগণের উপর নতুন করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিখোঁজ বেলুচ ছাত্রদের উদ্ধারের দাবিতে সোমবার (১৩ জুন) সিন্ধু বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। এ সময় ২৮ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে করাচি পুলিশ।
পাকিস্তানের পত্রিকা ডন জানিয়েছে, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বেলুচ ছাত্রকে অপহরণের বিরুদ্ধে ছাত্ররা যখন বিক্ষোভ করছিল তখন তাদের লাঞ্ছিত করেছে পুলিশ। তাদের লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি গ্রেফতারও করা হয়।
দোদা বালুচ এবং ঘামশাদ বালুচ নামে দুই ছাত্রকে গত ৭ জুন তুলে নিয়ে যায় পাক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তারপর থেকে তাদের কোনো হদিস জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গুলশান-ই-ইকবালের মাসকান চৌরঙ্গীর কাছে তাদের বাসা।
ডন জানায়, নিখোঁজ ছাত্রদের মুক্তির জন্য গত চার দিন ধরে তাদের আত্মীয়স্বজন এবং সুশীল সমাজ সংগঠনের সদস্যরা করাচি প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, সম্প্রতি ৩ হাজার বালুচ নাগরিক গুম হয়েছে। তদন্ত কমিশন ৭,০০০টি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা খুঁজে পেয়েছে, যার মধ্যে মোটামুটি ৫,০০০টি ২০২১ সালের মধ্যে সংঘটিত হয়। পাকিস্তানে জোরপূর্বক গুমের অনুশীলন শুরু হয়েছিল মোশাররফ প্রশাসনের সময় (১৯৯৯—২০০৮), কিন্তু এটি পরবর্তী সরকারের অধীনে অব্যাহত রয়েছে।
বালুচরা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু তাদের প্রতিবাদে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। বেলুচ ছাত্ররা বেলুচিস্তানে বা পাকিস্তানের অন্য কোথাও, অপহরণ, নির্যাতন এবং খুন হওয়ার ভয়ে আতংকিত। তাদের অবাধে ঘোরাঘুরি করতে বা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো সাধারণ ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়ার অনুমতি নেই।