শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঝিনাইগাতীতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত 

আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১৭:২০

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। মহারশি, সোমেশ্বরি ও কালঘোষা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শত শত মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। 

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন বলেন, মহারশি নদীর ঝিনাইগাতী সদরের পূর্বপাড়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করছে। পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা ভেঙে উপজেলা সদরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। 

তিনি আরও বলেন, ‘পানিবন্দী এলাকার মানুষ কলার ভেলা ও নৌকা দিয়ে পার হচ্ছেন।’ 

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর সূত্রে  জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ধানশাইল-পানবর, কান্দুলী, দীঘিরপাড়, ঝিনাইগাতী সদরের পূর্বপাড় থেকে নলকুড়া রাস্তা, সুটিপাড়া-পানবরসহ কয়েকটি স্থানে রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলা সদরের মহারশি নদীর পূর্বপাড় থেকে নলকুড়া রাস্তা, ডাকাবর থেকে শালচুড়া রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। 

ইত্তেফাক/এএএম