শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১২:১৬

উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার দেড় শতাধিক চর ও নদী সংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন চর ও নদী সংলগ্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর ও মাঠে পানি ওঠায় প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ দান বন্ধ হয়ে গেছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার ৩০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। বিলীন হচ্ছে বাস্তুভিটা ও আবাদি জমি।

কুড়িগ্রামে বন্যা।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ফসলের মধ্যে রয়েছে পাট, তিল, ভুট্রা ও সবজি। বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে মরিচ ক্ষেত।

দেড় শতাধিক ছোট বড় পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। চরাঞ্চলের সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু চরের বসতবাড়িগুলোতে পানি প্রবেশ করায় লোকজন আসবাবপত্র নিয়ে উঁচু জায়গায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। অনেকেই ঘরের ভেতর চৌকি উঁচু করে অবস্থান নিয়েছেন। দেখা দিয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও পশুখাদ্যের সংকট।

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত রৌমারী উপজেলায় ৬ শত প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ২০ লক্ষ টাকা ৪০০ মেট্রিক টন খাবার মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।

ইত্তেফাক/এমআর