ঝিনাইদহ জেলায় ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয় উপজেলায় ছয়টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। দুই বছর আগে এ ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর থেকে এসব ভবন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ভবনগুলো নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তিন তলা বিশিষ্ট এসব ভবনের নিচ ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে দোকানঘর। তৃতীয় তলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস ও মিলনায়তন।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিতা বলেন, তিনি সাবেক ইউনিট কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করেন। ভবনগুলো হস্তান্তর না করায় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আগের অফিসে বসছেন।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, বর্তমানে কমপ্লেক্স ভবন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। ভবনের দোকান ঘরগুলো ভাড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, ২০২০ সালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে উদ্বোধন না হওয়ায় তা অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।