টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
নতুন করে উপজেলার শৈল ধুকরী, কোদাল ধোয়ার পাড়, কয়ার পাড়, বুরুজের পাড়, চাচলার পাড়, সিংরিয়ে, হারিশের ডারা, পেদিখাওয়া প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন পাউবো বাঁধ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উঁচু স্থানে গবাদি পশুসহ আশ্রয় নিয়েছে।
রাজারভিটা পাউবো বাঁধে আশ্রিত মিজানুর রহমান জানান, তিনদিন আগে ঘরে পানি উঠেছে, অপেক্ষা করেছিলাম পানি সরে যাবে, কিন্তু না সরে পানি আবার বাড়তে থাকায় গতকাল পাউবো বাঁধে এসে আশ্রয় নিয়েছি।
গোলেজান বেওয়া(৭০) জানান, বাড়িতে কোমর পরিমাণ পানি হওয়ায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে আম্বারআলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি।
বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, ৩০ মেট্রিক টন চাল আর শুকনা খাবারের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলি শরিফুল ইসলাম জানান, রবিবার সন্ধা ৬ টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সে.মি. ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।