শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুড়িগ্রামে বন্ধ হয়ে গেছে ৩২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আপডেট : ২৩ জুন ২০২২, ০২:০০

ব্রহ্মপুত্র নদের অভ্যন্তরের পোড়ার চরের আরাজী পিপুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ডুবে আছে বন্যার পানিতে। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেলেও লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে বলে জানালেন স্থানীয়রা। কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় বন্যার পানিতে এরকম বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৯৪। বন্ধ থাকা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩১। পোড়ার চরের আরাজী পিপুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে ঘরবাড়িতে কোথাও কোমর পানি, কোথাও বুক পানি আবার কোথাও অথই পানি। ডুবে আছে ৮৭টি পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই। ১০ দিন ধরে এই অবস্থা। ঘরবাড়িতে পানি ওঠার পর এসব পরিবারের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছে নৌকায়। কেউ কেউ ঘরের ভেতর মাচা পেতে সেখানেই থাকছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউয়িনের আরাজী পিপুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্র শফিকুল জানায়, ১০/১২ দিন ধইরা স্কুলের ঘরে পানি উঠছে, বাড়িতেও ঘরের ভেতর-বাইরে গলা বা অথই পানি। বাবা-মাসহ নৌকায় আশ্রয় নিয়া আছি। পড়ার বই-খাতা ঘরের ছাদে তুইল্যা রাইখা স্কুলের চালের নিচে নৌকায় আশ্রয় নিয়া আছি। লেখাপড়া বন্ধ, কবে যে পানি কমবে, কবে স্কুলে যাব জানি না। যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন জানালেন, ঘরে-বাইরে পানি, বাচ্চাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। পানি যে কবে নামবে, কবে বাড়ি ফিরতে পারব জানি না। পরিবার পরিজন লইয়া নৌকায় দিন-রাত কাটছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় বিদ্যালয়ের মাঠ ও আশপাশের এলাকায় পানি ওঠায় শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে মোট ২৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নেমে গেলে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়গুলোয় পড়াশুনা শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম জানান, বন্যার কারণে বিদ্যালয়ের আশপাশ ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ২৩টি মাধ্যমিক, সাতটি মাদ্রাসা ও একটি কলেজসহ মোট ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

ইত্তেফাক/এমএএম