ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নের ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পর বিদ্যালয়ে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি সরকারি ভবন নির্মাণ করা হয়। ঐ ভবনেই চলছিল বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়।
২০১৯ সালের শেষ দিকে বিদ্যালয়ের পূর্বে স্থাপিত ভবনটি ভেঙে একই স্থানে নতুন ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য কোনো শ্রেণিকক্ষ না থাকায় মাঠের মধ্যে টিনের ছাউনিতে পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা ইয়াসমীন জানান, ভবনের কাজ চলমান থাকায় সমস্যা হলেও আমরা নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ জানান, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহতসহ বেশ কিছু সমস্যা বিদ্যালয়টিতে রয়েছে। আগামী মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপনপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সমাধানের জন্য আবেদন করব।
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহিন আক্তার বলেন, ভবন নির্মাণের সময়সীমা পার হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে ভবনটি এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। যে কারণে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।