কাইল মায়ার্সের কথা মনে আছে? তারপরও মনে করিয়ে দিচ্ছি। গত বছরের শুরুর দিকে ঘরের মাঠে আনকোরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই পরাজয়ের লজ্জাবরণ করে টাইগাররা। এর মধ্যে একটি ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করে একাই স্বাগতিকদের হারিয়ে দেন অভিষিক্ত মায়ার্স।
সেই মায়ার্স এখন অনেকটাই পরিণত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য। তার কথা এভাবে মনে করিয়ে দেওয়ার কারণ, আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে গর্জে উঠেছে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট। সেন্ট লুসিয়ায় চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ২০৮ বল মোকাবিলায় ১৪৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন কাইল মায়ার্স। তার এই উইলোর সুবাদে বড় লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা।
এর আগে গতকাল দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ক্যারিবিয়ানদের ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন বোলাররা। প্রথম দুটি শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ এবং শেষ দুটি খালেদ আহমেদের শিকার। দ্বিতীয় সেশনে আরও একটি উইকেট তুলে নেন মিরাজ। তখন মনে হচ্ছিল খুব অল্প রানেই স্বাগতিকদের আটকিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান জসুয়া দ্য সিলভা ও কাইল মায়ার্স। সারাদিন সফরকারী বোলারদের আর কোনো সুযোগ দেননি। আজ তৃতীয় দিন আবারও ব্যাটিংয়ে নামেন তারা। উইকেট তুলে নিতে বেশিক্ষণ লাগেনি। দিনের শুরুতেই ২৯ রান করা সিলভাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৩৪৪ রান। বোর্ডে আর ১৯ রান যোগ করতেই বাংলাদেশকে আবারও উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন খালেদ। তার শিকার আলজারি জোসেফ।
প্রথম সেশনে আর কোনো উইকেট হারায়নি ক্যারিবিয়ানরা। এক প্রান্ত আগলে রাখেন মায়ার্স। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। ছুটতে থাকেন দেড়শ এর দিকে। তবে সেটি আর পূরণ হতে দেননি খালেদ। তার একটি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে শরিফুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মায়ার্স। এই রিপোর্ট লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৯৪ রান। কেমার রোচ ১৪ ও ফিলিপ ৫ রানে অপরাজিত। লিড দাঁড়িয়েছে ১৬০ রানে।