ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে নতুন করে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে ঐ এলাকায় নদীর তীর রক্ষা জিও ব্যাগের ডাম্পিং বাঁধে এ ভাঙন দেখা দেয়। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুভর্তি জিও ব্যাগের প্লেসিং ও ডাম্পিংকৃত প্রায় ২০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকিতে রয়েছে একটি বিদ্যালয় ও নদী তীরবর্তী ৪০টি পরিবার।
রবিবার সকালে সরেজমিনে ভাঙন এলাকায় দেখা যায়, পাউবোর পূর্ব সতর্কতামূলক প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগের ডাম্পিংকৃত প্রায় ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়টি যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ঐ বিদ্যালয়ের ১৩৫ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভাঙনের মুখে রয়েছে নদী পাড়ের ৪০টি পরিবার।
স্থানীয় সেখ কালাম (৬৫) শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকারিভাবে এখানে ভাঙন রোধে কাজ চলছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে নদী পাড়ে ভাঙন দেখিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি জিও ব্যাগসহ ঐ পাড়ের বড় একটা অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাব এ নিয়ে চিন্তায় আছি। সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, হঠাৎ ভাঙন দেখা দিবে ভাবতে পারেননি। ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে স্কুলটি রক্ষা করা যাবে না। তাই দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহণ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা ইত্তেফাককে বলেন, সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙনের খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানান, এ বছর পদ্মা নদীর ২০০ মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি। তাই ঐ এলাকায় পূর্ব সতর্কতামূলকভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে ঢালু করে তার ওপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় জিও ব্যাগের ডাম্পিং করেও খুব একটা সুফল আসছে না। দ্রুত ঐ স্থানে বড় আকৃতির জিও ব্যাগের ৩০০ টিউব ফেলা হবে।