শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজারহাটের খামারিরা

আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, ১৫:৫৪

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে গবাদিপশু পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। কিন্তু সময় ঘনিয়ে আসলে ও পশুর হাট ও ব্যপারিদের তৎপরতা না থাকায় হতাশ তারা। এদিকে গো- খাদ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়ায় পশুর বাজারদর নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা। শুধু তাই নয়, মোট উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা কম থাকায় প্রায় অর্ধশত পশু অবিক্রিত থাকার আশঙ্কা করছেন তারা। 

উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন রতি মৌজা গ্রামের মো. লাভলু মিয়া, বাবলু মিয়া ও আম্বিয়া বেগম বলেন, এ বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ৮ টি গরু  মোটাতাজা করেছি। আর  কয়েক দিন পরে বিক্রি করা হবে। তবে কয়েক আগে হঠাৎ করে গোখাদ্যে দাম বেড়েছে যাওয়ার কারণে খরচ দ্বিগুণ হওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে। লাভের আসায় বিভিন্ন দোকানে গো-খাদ্য বাকি কিনেছি। কিন্তু গরু বিক্রি করে খরচ তুলতে পারবো কি না ভাবতে পারছি না।    

বোতলারপাড় গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, লাভের আসায় গরু মোটাতাজা করেছি কিন্তু গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের আশা ভেস্তে যাবার পথে। যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে সেই গরু বিক্রি করে খরচের টাকা তুলতে পারবো কিনা তা নিয়ে ভাবছি। চাহিদামত দাম না পেলে ঈদে গরু বিক্রি করবোনা। 

উপজেলা সদরের খামারি মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, আমার খামারে ১৬ টি গরু রয়েছে।  গো- খাদ্যের যে দাম লাভ করা খুবই কঠিন হবে।  

রাজারহাট উপ- সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ছায়দুর রহমান বলেন, এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলায় ২ হাজার ৬শ ৬২টি পশু মোটাতাজাকরণ খামার ২৬ হাজার ৬ শ ২০ প্রস্তুত করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলার কোরবানি উপলক্ষে ২টি স্থায়ী বিশাল হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী আরো ৩টি হাট বসানো হবে।

ইত্তেফাক/এআই