সাভারে আশুলিয়ায় কলেজশিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশরাফুল আহসান জিতুকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেনের (৪৫) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে আশুলিয়া থানায় গ্রেফতার দেখানোর পর আদালতে নেওয়া হলে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে তাকে দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা থেকে উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতেই আশুলিয়া থানায় নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পরিবারসহ গা ঢাকা দিয়েছিলেন উজ্জ্বল হাজী।
কলেজক্যা ম্পাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আশুলিয়ার চিত্রাশাইলে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজেরবি রাষ্ট্র জ্ঞানের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে গত শনিবার (২৫ জুন) ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে গত সোমবার (২৭ জুন) সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ওই কলেজ শিক্ষক মারা যান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্কুলটির এক পরিচালকের আত্মীয় হয় জিতু। ঘটনার দিন সিসি ক্যামেরা অকার্যকর রাখতে জিতু নিজেই বিদ্যুতের মূল সুইচ বন্ধ রাখে। সেই ক্ষমতাই জিতুর ওপর কেউ কথা বলতে পারতো না। জিতু নানা অপকর্ম করে বেড়ায়।
স্কুলের এক শিক্ষক জানান, সহকর্মী উৎপল স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাতের পর পড়ে যাচ্ছিলেন। শিক্ষকেরা উৎপলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জিতু সেখান থেকে সটকে পড়ে।
প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এ কলেজে অধ্যাপনা করে আসছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি এই কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উৎপল সরকার একইসঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামে। পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকার মিরপুরে বসবাস করতেন।