শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে আত্রাই নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট : ০১ জুলাই ২০২২, ০৭:০৮

ভারী বর্ষণের ফলে আবারও বাড়তে শুরু করেছে দিনাজপুরের নদনদীর পানি। বিপত্সীমা ছুঁইছুঁই করছে দিনাজপুরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদীর পানি। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্যাজ রিডার মাহাবুব আলম জানান, দিনাজপুরে হঠাৎ করেই নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর মধ্যে আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। 

গত বুধবার বিকেলে বিপত্সীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে আত্রাই নদীর পানি। এছাড়াও বুধবার পুনর্ভবা নদীর পানিও বাড়ছে। মাহবুব আলম জানান, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টি হওয়ায় দিনাজপুরে নদনদীর পানি বাড়ছে।

এদিকে টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে পঞ্চগড়ে পানি বাড়তে শুরু করেছে। জেলার মহানন্দা, করতোয়া, তালমা, ডাহুকসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপত্সীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মাহমুদ জাকি বলেন, আমরা পরিস্হিতির দিকে নজর রাখছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জে ভারী বর্ষণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জে ভারী বর্ষণ হয়। এতে শহরের এস এস রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভারী বর্ষণে শহরের প্রধান সড়ক এস এস রোড, মুজিব সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে জমে যায় এক দেড় ফিট পানি। এতে শহরে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এর মধ্যেই শহরে রিকশা, ভ্যান, সিএনজি চলাচল করেছে ঝুঁকি নিয়ে।

নাগেশ্বরীতে আবার পানি বাড়ছে
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, নাগেশ্বরীতে বন্যা পরিস্হিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই উজানের ঢলে আবারও দ্রুতগতিতে বাড়ছে পানি। গত তিন দিনের প্রখর রোদে কমতে শুরু করেছিল সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যার পানি। জনপদ থেকে ধীরে ধীরে পানি নামছিল। উন্নতি হচ্ছিল সামগ্রিক পরিস্হিতির। মানুষ ফিরতে শুরু করেছিল ঘরবাড়িতে। ঠিক এ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। বৃষ্টি শুরু হয়। 

বুধবার সারা দিন বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বামনডাঙ্গার তেলিয়ানীতে দুধকুমারের ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করতে থাকে পানি। সময় যত যায় পানির গতি ততই বাড়তে থাকে। তলিয়ে যেতে থাকে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও নিচু এলাকার ঘরবাড়ি। বিস্তীর্ণ জলরাশিতে ঢেকে যায় চারদিক। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যেভাবে পানি প্রবেশ করছে তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বানভাসিরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, বানভাসিদের মধ্যে সরকারি ত্রাণসহায়তা অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত ৭৪ মেট্রিক টন জিআর চাল, নগদ জিআরের সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লাখ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। গোখাদ্যের জন্য পাওয়া ৩ লাখ টাকা খুব শিগ্গিরই বিতরণ করা হবে।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি