রোববার, ০৪ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মির্জাপুরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৫ হাজার কোরবানির পশু 

আপডেট : ০১ জুলাই ২০২২, ১২:২৭

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোরবানির পশু। ব্যক্তি উদ্যোগে পালিত দেশীয় প্রজাতির ভালো মানের ষাঁড় এবং বিভিন্ন খামারেও দেশীয় প্রজাতির এবং বিদেশি জাতের ষাঁড় ও বলদ রয়েছে। এবছর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন খামারির মালিক এবং গৃহস্থরা। দু’এক দিনের মধ্যেই হাট-বাজারে জমে উঠবে পশু বেচাকেনা।

শুক্রবার (১ জুলাই) উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, এবছর মির্জাপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার। বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে। এলাকায় দেশীয় প্রজাতির ষাঁড় রয়েছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন খামারে ফ্রিজিয়ান, ক্রস, বাহামা, আমেরিকান, নেপালি ও সিন্দি জাতের ষাঁড়, বলদ এবং গাভী রয়েছে। রয়েছে মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। 

খামারিদের মধ্যে মেসার্স আমিনা এগ্রো ফার্মের মালিক মো. মঞ্জুরুল কাদের বাবুল এবং মহেড়া পেপার মিলস এগ্রো ফার্মের মালিক মো. তাহেরুল ইসলাম জানান, গত দ্ইু বছর দেশে মহামারি করোনার কারণে পশু বিক্রি করে লাভ করতে পারেননি। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এবছর নানা কারণে পশুর খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে পশু প্রস্তুত করতে তাদের অনেক খরচ বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যায় তাদের দুঃচিন্তা বেড়েছে। খামারে ভালো মানের পশু প্রস্তুত করেছেন। ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের একটি ষাঁড় এবং বলদ ৭০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। 

এদিকে, টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ কোরবানির পশুর হাট রয়েছে মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা এবং কাইতলা। এই দুটি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা এখনও জমে ওঠেনি। 

দেওহাটা গরুর হাটের ইজারাদার ও ১০ নম্বর গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এই হাটে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু বিক্রি হয়। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারি এবং ক্রেতারা পশু কিনতে আসেন। তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হয়।’ দুই একদিনের মধ্যে বেচাকেনা জমে উঠবে বলে তিনি আশা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ সুজন বলেন, ‘এবছর মির্জাপুর উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার। বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ হাজার। এলাকায় দেশীয় প্রজাতির ষাঁড়  ও বলদ রয়েছে। খামারি ও কৃষকদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এলাকায় এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে জেলার অন্যত্রও পশু বিক্রি হবে।’

ইত্তেফাক/মাহি