রাজধানীর এয়ারপোর্টের পূর্ব পাশে দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান বাড়ির রোডের আমতলা থেকে দক্ষিণখান বাজার পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে নোংরা পানির নিচে ডুবে রয়েছে। বৃষ্টি না হলেও পানিতে ডুবে থাকে রাস্তাটি। পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
বিমানবন্দর রেললাইন-দক্ষিণখানের বাজার হয়ে দক্ষিণখান ও উত্তরখান মানুষের চলাচলের জন্য অন্যতম রাস্তা এটি। রাস্তার এই পরিস্থিতি নিয়ে এক পথচারী বলেন, ‘এখনো তো ওই রকম বৃষ্টি হয়নি। তবে রাস্তাটি নোংরা পানিতে ডুবে গেছে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণখান বাজারের কাছে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে নোংরা পানিতে ডুবে রয়েছে। এতে ওই এলাকায় চলাচলরত কয়েক লাখ বাসিন্দাকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান-রাস্তায় কয়েকটি ম্যানহোল রয়েছে। তবে বেশিরভাগের ঢাকনা উপচে ময়লা পানি রাস্তায় আসছে।
পরিবহণ চালকরা জানান, ময়লা পানির কারণে রাস্তা ঠিকমতো দেখা যায় না। ফলে ভাঙা রাস্তায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। মাঝেমধ্যে ইঞ্জিনের মধ্যে পানি ঢুকে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
দক্ষিণখানের চাল ব্যবসায়ী শামীম ট্রেডার্সের মালিক মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ চাইলে রাস্তাটি সংস্কার করতে পারে। কিন্তু করছে না। ম্যানহোলগুলো ভাঙা থাকায় পানি উপচে পড়ছে। নানা রকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। তবু যেন দেখার কেউ নেই।’
দক্ষিণখানের মিয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন সোনিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমি আগামী মাসেই এ এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় বাসা নেব।’
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)-৪৮-নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আলী আকবরের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘এলাকাটি নতুন গঠিত ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। এসব ওয়ার্ডের উন্নয়ন প্রকল্প কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ডিএনসিসির অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন বলেন, ‘পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির।