পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে দাদির হাত ধরে বিদ্যালয় থেকে ফিরছিল সমৃদ্ধি ধর প্রিয়ন্তি (৬)। স্কুলের গলি পার হয়ে প্রধান সড়কে উঠতেই হঠাৎ অটোরিকশার ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পায় সে। আহত সমৃদ্ধিকে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
সমৃদ্ধি ধর প্রিয়ন্তি জামালপুর শহরের ডলফিন বে কিন্ডার কেয়ারের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে শহরের বসাকপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সৌমিক কান্তি ধর পাপ্পুর মেয়ে। এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সমৃদ্ধি বড়।
ডলফিন বে কিন্ডার কেয়ারের পরিচালক মো. নাছিমুল বলেন, ‘বুধবার দুপুরে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সমৃদ্ধি তার দাদি রমা রাণী ধরের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।’
পরিবারের লোকজন জানান, জামালপুর শহর এখন অটোরিকশার শহরে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ অটোরিকশার নাই কোনো লাইসেন্স। এসব অটোরিকশা বিশৃঙ্খলভাবে চলাচল করায় প্রায়ই ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
শহরের আমলাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে খুশিতে দৌড় দেয় সমৃদ্ধি। এসময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’ অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।